Ticker

6/recent/ticker-posts

সুন্দরগঞ্জে প্রতারণামূলক ব্যবসায়ীকে হয়রাণী



সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জনম বাণিজ্যালয়ের স্বাত্বাধিকারী মিলন কুমার সরকারকে প্রতারণামূলক হয়রাণীর অভিযোগ রয়েছে। 

 জানা যায়, গত বুধবার (২৩ জানুয়ারী) দিনগত রাতে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের মারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আমিনুল ইসলাম বাবু উক্ত ইউপি সদস্য আখতার হোসেন ও ব্যবসায় নিযুক্ত ব্যবস্থাপকসহ সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব-বাইপাস এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এ খলিল ফিলিং ষ্টেশনে গভীর রাত পর্যন্ত এক সালিসে মিলন কুমারের কাছে মিথ্যাভাবে ১৫ লাখ টাকা দাবী করেন। এব্যাপারে মিলন কুমার সরকার বলেন, আমিনুল ইসলাম বাবু ও জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে আমার ব্যাংক হিসেব নম্বর ব্যবহার করেছে। টাকা আদান-প্রদান বা অন্য যে কোন দিন যে কোন বিষয়ে আমিনুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে আমার কথা হয়নি। গত ২২ জানুয়ারী জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল এসে ব্যবসায়ীক কারণে আমার ব্যাংক হিসেব নম্বরে টাকা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান। আমি একপর্যায়ে অনুরোধে ঢেঁকি' গিলি। তবে কোথা থেকে টাকা গ্রহণ করবেন তা জানাননি। আমি বাবু ও জুয়েলকে আগে চিনতামনা। তিনি আরো জানান, আমিনুল ইসলাম বাবু নারায়ণগঞ্জের পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেডে পাট যোগান দেয়ার জন্য গৃহীত টাকা মার দিতে ও আমাকে হয়রাণী করতে তারা পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী এ ফন্দি এটেছেন বলে মনে করছি। বাবু ও জুয়েল পরস্পর সু-পরিচিত হিসেবে উক্ত পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের সঙ্গে প্রতারণা করার অসৎ উদ্দেশ্য ছাড়াও আমাকে মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে হয়রাণী করতে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। আমার ব্যাংক হিসেব নম্বর থেকে জুয়েলের টাকা গ্রহণের সময় বাবুর ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) জড়িত ছিলেন। 

 সালিসে আমিনুল ইসলাম বাবু জানান, তিনি নারায়ণগঞ্জের পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেডে পাট যোগান দেয়ার জন্য জুয়েলের সঙ্গে মোবাইল নম্বরে (০১৯৬৮৮২১৯৭৮) কথাবর্তা মোতাবেক দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার কমিউনিটি ব্যাংকে তার নিজের হিসেব নম্বর থেকে মিলন কুমারের সুন্দরগঞ্জ ইসলামী ব্যাংক শাখার হিসেব নম্বরে ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। এরআগে ঐ মোবাইল নম্বরধারী ব্যক্তি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের এক গ্রামের মৃত কাজিম উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম জুয়েলকে নগদ ১০ হাজার টাকা গুণে দিয়েছি। ব্যংক হিসেব নম্বর থেকে টাকা উত্তোলন করে মোট ১৫ লাখ টাকাপ্রাপ্তির কথা স্বীকার করার পর থেকে জুয়েলে ঐ মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রেখে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, পাট দেখা, গাড়ি বোঝাইসহ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেদেন নিশ্চিত হতে আমার বিশ্বস্ত ম্যানেজারকে আগের দিন জুয়েলের নিকট পাঠিয়েছি। আমার ম্যানেজার জুয়েলের সঙ্গে থেকেই টাকা গ্রহণের বিষয় আমাকে ঐ মোবাইল নম্বর থেকে নিশ্চিত করেন জুয়েল। 

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউপি'র ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আখতার হোসেনের সঙ্গে মোবাইলফোণে কথা হলে আমিনুল ইসলাম বাবুর মোবাইল নম্বর না দেয়ার শর্তে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাবু ও জুয়েল পরিচিত না হলে ১০ হাজার টাকা কীভাবে হাতাহাতি লেনদেন হলো সেটা আমিও বলতে পারছিনা। এটা আমিনুল ইসলাম বাবুই ভাল জানেন। তিনি বাবুর ম্যানেজারের নাম জানাতে পারেননি।

Post a Comment

0 Comments