যৌনকর্মী ভাড়া করা নিয়ে বাকবিতণ্ডা, অতঃপর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে নিখোঁজের ২ মাস পর মিলছে কৃষকের অর্ধগলিত মাটিচাপা মরদেহ। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। হরিণাকুন্ডু উপজেলার তৈলটুপি গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম গত বছরের ১৫ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, হরিণাকুন্ডু উপজেলার তৈলটুপি গ্রামের নিজামুদ্দিনের ছেলে ছয়ফুল ইসলাম (৪২) তার দুইজন পরিচিত মজনু হোসেন ও মনিরুল ইসলামের সঙ্গে চলাফেরা করত। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার আইলচারা ও আস্তানগর গ্রামে। এরা দুইজন টাকার বিনিময়ে এক যৌনকর্মী ঠিক করার জন্য সাইফুল ইসলামকে টাকা দেয়। কিন্তু কোন মহিলাকে ভাড়ায় না পাওয়ায় গত বছরের ১৫ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার মধ্যনাথপুর গ্রামের কুমার নদীর পাড়ে রঞ্জু ইটভাটার পাশে তিনজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে মজনু ও মনিরুল রাগান্বিত হয়ে  ছয়ফুল ইসলামকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে মাটি চাপা দিয়ে পুঁতে রাখে। ছয়ফুলকে কোথাও না পেয়ে তার ভাই নয়ফল হোসেন গত বছরের ১ ডিসেম্বর হরিনাকুন্ডু থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।

নিখোঁজ জিডির তদন্তের সূত্র ধরে হরিনাকুন্ডু থানা পুলিশ কুষ্টিয়া সদরের আলচারা গ্রামের ইসলাম হোসেনের ছেলে মজনু হোসেন ও একই উপজেলার আস্তানগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলামকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছয়ফুলকে  হত্যা করে মাটিচাপা দেয়ার কথা স্বীকার করে।